সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ২নং চরাদি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ চরাদি নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৭টি পদে লোকবল (সংশোধিত) বিজ্ঞপ্তি নিয়োগে গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। ফরিদপুত্র ফাহিমের চাকরি পাকা! পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, কিন্তু কপি অদৃশ্য, বঞ্চিত স্থানীয় শিক্ষিত যুবকরা ক্ষোভে ফুঁসছেন
অনেক বেকার যুবক গোপন সূত্রে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের খবর জানতে পেরে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পত্রিকার নাম ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা অস্বীকার করেন। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাদেরও কোন তথ্য দেয়নি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খলিফা। এতে সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার আগ্রহী প্রার্থীরা। গত ১ সেপ্টেম্বর এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির পত্রিকা মাদ্রাসা এলাকা তো দুরের কথা গোটা বরিশালে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পত্রিকার কপি পাওয়া যায়নি। যে কারনে নিয়োগের বিষয়টি জানেন না কেউ। এমনকি মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ডেও নেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির খবর। এর মধ্যেই আবেদনের সময়সীমা গত ২১ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ায় পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার শিক্ষিত যোগ্য বেকার যুবক ও প্রথমবার নিয়োগে আবেদনকারী আগ্রহী প্রার্থীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান অনুসারী ২নং চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম ৭টি পদে নিয়োগে কলকাঠি নাড়ছেন। তার পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৭টি পদের মধ্যে নিজের পূত্র ফাহিম ইসতিয়াক সাজ্জাতকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি পাকা করেছেন বলেও দাবী করেন স্থানীয় ঐ অসমর্থিত সূত্রটি। বাকি ৬টি পদেও ফরিদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য গোপনে এ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক আগ্রহী প্রার্থীরা। স্থানীয় শিক্ষিত যুবকদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর দৈনিক দক্ষিনঞ্চল পত্রিকায় এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফা। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে একজন অধ্যক্ষ, একজন উপাধ্যক্ষ, একজন ইবতেদায়ী প্রধান, একজন হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, একজন অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, একজন নিরাপত্তা কর্মী, একজন আয়া পদে আবেদন চাওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পত্রিকা কোথাও না পাওয়ায় লোকবল নিয়োগের খবর এলাকার কেউ জানতে পারেনি। স্থানীয় কারও চোখেও পড়েনি। মাদ্রাসার নোটিশবোর্ডেও এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষকরাও নিয়োগ বিষয়ে কিছুই জানেন না, তাদেরও জানানো হয়নি। স্থানীয় শিক্ষিত যুবকরা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সব নিয়োগ গোপনে করা হয়েছে। এসব নিয়োগ প্রতিষ্ঠাতার আত্মীয়স্বজন ও মনোনীত প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একই পরিবারের ৮ সদস্য প্রতিষ্ঠানটিতে চাকরি করে যাচ্ছেন। এমপিওভুক্ত এ মাদ্রাসায় নিয়োগ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কোনো তথ্য অবগত নন এলাকাবাসী। বর্তমানে ২নং চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলামের ইশারায় নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এলাকাবাসীকে ফাঁকি দিয়ে ৭টি পদে নিয়োগের আয়োজন করেছেন। এ ছাড়া এলাকার সুধী সমাজের আপত্তি উপেক্ষা করে মাদ্রাসার লাখ লাখ টাকা সহজেই আত্মসাৎ করতে অধ্যক্ষের পকেটের লোকজন দিয়ে সম্প্রতি গভর্নিং বডির কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি নোটিশ বোর্ডে বা মাদ্রাসার আশপাশের কোনো বিলবোর্ডেও টাঙ্গানো ছিল না। নিয়োগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে প্রতিবারই তিনি উত্তর না দিয়ে সটকে পড়েন। মাদ্রাসায় নিয়োগ পেতে আগ্রহী স্থানীয় প্রার্থীদের অনেকেই জানান, মাদ্রাসায় কখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় তা আমরা জানি না। যখন নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে লোকবল ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেন আমরা তখন জানতে পারি, মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর আগেও এই প্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষক–কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে তাও অতি গোপনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মাদ্রাসা সুপারের যোগসাজশে সম্পন্ন হয়েছে। ঘুরে ফিরে একই পরিবারের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি হচ্ছেন। নিয়োগের সময় তাদের পকেটের লোক ছাড়া এ বিষয়টি এলাকাবাসীও জানেন না। ইতোমধ্যেই মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে লাখ লাখ টাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করেছেন। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই। প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে কথাবলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারাও পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কথা জানেন না। অতি গোপনে প্রতিষ্ঠানের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফা, ২নং চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম ও গভর্নিং বডির সভাপতি খাসেরহাট বাজারে ওষুধ ব্যবসায়ী মোঃ ইসা তাদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ৭টি পদে নিয়োগ দিতে চাপা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়েছেন। নিয়োগের বিষয়টি বাকেরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার আমিনুল ইসলামকেও জানানো হয়নি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক জানান, মাস দুয়েক পূর্বে ৭টি পদে নিয়োগ নিশ্চিত করতে ভোটার তালিকাবিহীন একটি গোপন নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখিয়ে কমিটি গঠন করেন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফা। বর্তমানে ২নং চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের নাম ভাঙিয়ে ৭টি পদে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে লক্ষ্যে অধ্যক্ষ পদে বাকেরগঞ্জ দুধাল এলাকার এক ব্যক্তিকে নিয়োগের নিশ্চয়তা দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে একাধিক অসমর্থিত সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া তার পূত্র ফাহিম ইসতিয়াক সাজ্জাতকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পাকা করে অন্যান্য ৬টি পদে পছন্দের ৬ প্রার্থীর কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে একাধিক অসমর্থিত সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নাম গোপন রাখার শর্তে মাদ্রাসার ২ শিক্ষক বলেন, ২নং চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম আগস্ট মাসে গভর্নিং বডির সভাপতি মাওলানা ইসা ও (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফাকে তার রানিরহাট বাজারের অফিসে ডেকে নিয়ে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান অতিদ্রুত নিয়োগের আয়োজন করতে বলেছেন বলে তাদের জানিয়ে দেয়। যদিও এই কথার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রথমবার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদনকারী মাছুম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, শুনেছি স্থানীয় এক বিএনপি নেতা, প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ইসা হুজুর ও এবং (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফা মিলে নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য এই নিয়োগ চূড়ান্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁরা অতি গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব কাজ করে যাচ্ছেন। আমি ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ দৈনিক শাহানামা পত্রিকায় এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরীর জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কমিটি নিয়ে মামলার কারনে সেই নিয়োগ স্থাগিত হয়ে যায়। এবার ৭টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেয়া হলেও তা পূর্বের প্রার্থীদের জানানো হয়নি। সপ্তাহখানেক আগে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির কথা জানতে পেরে অধ্যক্ষের কাছে পত্রিকার নাম জানতে চাইলেও তিনি অস্বীকার করেছেন। ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ প্রথমবার ৬টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিচে উল্লেখিত ব্যক্তিরা আবেদন করেছিলেন। অধ্যক্ষ পদে মোঃ মুছা কালিমুল্লাহ, আবু নোমান মোঃ সালেহ, মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, মোঃ আশফাকুর রহমান, আবু জাফর মোহা: ছালেহ, মোঃ হাফেজ আহম্মদ, মোঃ অলি উল্লাহ, আবু ছালেহ মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ বকর ছিদ্দিক, মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন,মোহা: আবুল কালাম আজাদ, মোঃ কবির উদ্দিন খান। ইবতেদায়ী প্রধান পদে মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ আব্দুল হালিম। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদনকারী মোঃ এনামুল হক, মোঃ রাজিব হাওলাদার, মাছুম বিল্লাহ, মাহবুবুর রহমান, হাসিবুর রহমান মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ মিলন মৃধা, মাহতাব উদ্দিন, ফারজানা ইয়াসমিন চাঁদনি, আবু ইউসুফ। অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে মোঃ ওবাইদুল আল মাহাদী, আরিফুল রহমান, মোঃ রাকিব হোসাইন, মোঃ জাকারিয়া, ইমন হোসাইন জুনায়েদ, মোঃ সিরাজ তালুকদার, মোঃ মিলন মৃধা, আফিফা আক্তার, সুমাইয়া তানছিলা, ফারজানা ইয়াসমিন চাঁদনী, মোঃ মিজানুর রহমান। নিরাপত্ত কর্মী পদে পারভেজ মল্লিক, মোঃ সাকিল হাওলাদার, রাব্বি তালুকদার, রায়হান হাওলাদার, তুহিন ইমরান শাওন, কাওছার হোসেন রোমান, মোঃ মাহাবুব হোসেন। আয়া পদে খাদিজা আক্তার, তানজিলা আক্তার, সানজিদা আক্তার রিয়া, ঝুমা আক্তার, তানিয়া আক্তার। এই সকল আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৩/৪জন ছাড়া অন্যরা কেউ ১ সেপ্টেম্বর (সংশোধিত) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা জানেন না। এমনকি পূর্বের আবেদনের ব্যাংক ড্রাফের টাকাও তাদের ফেরত দেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর দৈনিক দক্ষিনঞ্চল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফা সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পত্রিকার কপি ১ সেপ্টেম্বর সকালে মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে তার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে ও ভিডিও করে সাথে সাথেই আবার খুলে ফেলেন। আবেদনের সময়সীমা গত ২১ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার পরও ৭টি পদের বিপরীতে কতটি আবেদনপত্র জমা পড়েছে তাও বিএনপি নেতা ফরিদ, গভর্নিং বডির সভাপতি ইসা ও (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কেউ জানেন না। নিয়োগ–বাণিজ্য ও অদক্ষ ব্যক্তিদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে ২নং চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম ও গভর্নিং বডির সভাপতি ইসা এবং (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফা সবকিছু ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। এবিষয়ে (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম খলিফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার নোটিশবোর্ডে নিয়োগসংক্রান্ত তথ্য টানানো হয়েছিল। তাছাড়া গভর্নিং বডির লোকজন এ বিষয়ে জানেন, সবার জানার কি দরকার। সবকিছু চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ভাই দেখছেন। আপনারা তার সাথে কথা বলুন। মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মাওলানা ইসার বক্তব্য জানার জন্য প্রতিবেদক প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে কথা না বলে সটকে পড়েন। বাকেরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার আমিনুল ইসলাম বলেন, ঐ মাদ্রাসার নিয়োগ সংক্রান্ত বোর্ডে আমি সদস্য নই। আপনার মাধ্যমে জানতে পেরে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসতে অনুরোধ করব। নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখে আমার উধ্বর্তন মহলকে জানাবো। এবিষয়ে ২নং চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। চরাদি নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি গভর্নিং বডির সদস্য নই, নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও সরাসরি যুক্ত নই। সাবেক এমপি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খানের নাম ভাঙানোর কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অপপ্রচার। আমি বা আমার পরিবারের কেউ কারো কাছ থেকে টাকা নিইনি, কিংবা কোনো চাকরির নিশ্চয়তাও দিইনি। বরং এলাকায় বিএনপি ও আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে দুর্বল করতে কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে এসব গুজব ছড়াচ্ছে।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বলেন, “চরাদি নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার নাম ভাঙিয়ে যে অসাধু মহল নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে জড়িত থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই আমার রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে কেউ অনিয়ম করলে আমি কাউকেই ছাড় দেব না। এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে আমাকে কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র বরদাশত করব না। যদি কেউ আমার নাম ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করে থাকে, তা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত অপরাধ। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।” বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তার সরকারী নাম্বার ০১৩১৮২..৩৩২–এ একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।